গাজীপুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমতউল্লাহকে হারিয়ে জায়েদা খাতুনের চমক - bncworldnews

গাজীপুর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমতউল্লাহকে হারিয়ে জায়েদা খাতুনের চমক

 গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি।

৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট আর স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট।

এবারের নির্বাচনে মোট মেয়র প্রার্থী ছিলেন আটজন।

মাঝরাতে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন যে এই নির্বাচনে ‘নৌকা জিতেছে আর ব্যক্তি হেরেছে।’

“আমি এর আগে মেয়রের দ্বায়িত্ব পালন করেছি। আমি আমার সকল অভিজ্ঞতা দিয়ে নগরবাসীর জন্য ভালো কাজগুলো করতে সহায়তা করতে চাই।”

গাজীপুরের সাবেক মেয়র ও সাবেক আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন এবারের নির্বাচনের আগে হঠাৎই আলোচনায় আসেন তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ার পর।

ফলাফলে এগিয়ে থাকার খবর পেয়ে জায়েদা খাতুনের সমর্থকরা ভিড় করেন বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামের সামনে।

ভোট গ্রহণ শেষ হবার পর প্রাথমিক ফলাফল থেকে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।

                        

গাজীপুরের নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন (ডানে) ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম

           গাজীপুরের নতুন মেয়র জায়েদা খাতুন (ডানে) ও তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম


গাজীপুরের বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে বিবিসি বাংলার সংবাদদাতারও মনে হয়েছেন সেখানে মূলত আজমত উল্লা এবং জায়েদা খাতুনের মধ্যে প্রতিন্দ্বন্দিতা হতে পারে ।

নির্বাচনে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে নির্বাচনের পরিবেশে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কোনও অভিযোগ না থাকলেও ইভিএম নিয়ে বেশ ক্ষোভ দেখা যায় কেন্দ্রগুলোতে।

অনেকেই বলেছেন ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে অনেকের আঙুলের ছাপ মিলতে দেরি হয়েছে।

ভোটকেন্দ্রে থাকা প্রিজাইডিং অফিসাররাও কিছু কেন্দ্রে টেকনিক্যাল সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া যারা ভোটার তাদের অনেককে বিশেষ করে বয়স্কদের ইভিএম এর ব্যবহার বুঝাতেও সময় লেগেছে বলে ভোট গ্রহণে ধীরগতি ছিল বলে জানান কর্মকর্তারা।

আর ভোটগ্রহণ ধীরগতিতে এগুনোর কারণে অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। যদিও ভোটকেন্দ্রে থাকা ভোটাররা বিকাল চারটার মধ্যে ভোট দিতে পারেননি- তবে তাদের সবাই ভোট নেওয়ো হয়েছে বলে জানা গেছে।

গাজীপুরে এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। তবে বিএনপির বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।


news colact---- bbc.com.bangla

No comments

Powered by Blogger.