এমপি লিটন হত্যায় সাবেক এমপি কাদের খানসহ সাতজনের ফাঁসি - bncworldnews

এমপি লিটন হত্যায় সাবেক এমপি কাদের খানসহ সাতজনের ফাঁসি

এমপি লিটন হত্যায় সাবেক এমপি কাদের খানসহ সাতজনের ফাঁসি


গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায়ে একই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। অবসরপ্রাপ্ত কনেল ডা. আবদুল কাদের খানসহ সাতজনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক গতকাল বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে জনাকীর্ণ আদালতে বহুল আলােচিত ও চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘােষণা করেন। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের এরপর পৃষ্ঠা ৬ কলাম ১ এমপি লিটন (বাঁয়ে)। আদালত প্রাঙ্গণে গতকাল সাবেক এমপি কাদের খান।
এমপি লিটন হত্যায়
     এমপি লিটন (বাঁয়ে)। আদালত প্রাঙ্গণে গতকাল সাবেক এমপি কাদের খান


শাহবাজ গ্রামের মাস্টারপাড়ার নিজ পুলিশ। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত বাদী, বাড়িতে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জনের সাক্ষ্য হত্যা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন কাদের খানের গ্রহণ করে আদালত। ২২ কার্যদিবস চলার পর ৩১ একান্ত সহকারী মাে. শামছুজ্জোহা, তার গাড়িচালক অক্টোবর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হয়। এ আবদুল হান্নান, মেহেদি হাসান, শাহীন মিয়া, চন্দন ছাড়া ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কুমার রায় ও আনােয়ারুল ইসলাম রানা। রায় পাঠের অভিযােগ গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সময় চন্দন কুমার রায় ছাড়া সবাই কাঠগড়ায় ছিলেন। পর্যায়ক্রমে কারাগারে থাকা আসামিদের আত্মপক্ষ চন্দন ভারতে পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর সমর্থন শুনানি হয়। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আসামি কসাই সুবল চন্দ্র রায় ইতিপূর্বে কারাগারে আইনজীবীদের দীর্ঘ ১৮ মাস যুক্তিতর্ক শেষ হয় ১৯ অসুস্থ হয়ে মারা যান। তবে আসামি চন্দনকে দ্রুত নভেম্বর। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড যে পরিকল্পিত গ্রেফতার করে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে ছিল তা মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ, আসামিদের স্বীকারােক্তি জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ ছাড়া এ সময় মামলার ও যুক্তিতর্কে প্রমাণিত হয়েছে। সাক্ষী ও নিহতের স্বজনরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পিপি বলেন, প্রধান আসামি আবদুল কাদের খানকে সাজাপ্রাপ্ত শাহীন মিয়া (২৫) সুন্দরগঞ্জ উপজেলার একই ঘটনায় অস্ত্র মামলার রায়ে ১১ জুন যাবজ্জীবন উত্তর সমস কবিরাজটারী গ্রামের ওসমান গনি ভুট্টর কারাদণ্ড দেন এই আদালতের বিচারক। এ ছাড়া তখন ছেলে। মেহেদী হাসান (২৬) একই গ্রামের আবদুল অস্ত্র মামলায় পৃথক এক ধারায় তাকে ১৫ বছর করিমের ছেলে। গাড়িচালক আবদুল হান্নান (৩০) কারাদণ্ড দেওয়া হয়। লিটন হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার কামারপাড়ার অস্ত্রের মধ্যে একটি কাদের খান নিজে সুন্দরগঞ্জ থানায় আবদুর রহমান প্রামাণিকের ছেলে। আনােয়ারুল জমা দেন। একটি অস্ত্র ছয় রাউন্ড গুলিসহ কাদের ইসলাম ওরফে রানা (২৯) সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খানের স্বীকারােক্তি মােতাবেক তার নিজ বাড়ির উঠান ভেলারায় কাজীরভিটা গ্রামের তমশের আলীর ছেলে। থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অপর অস্ত্রটির সন্ধান বিচারক রায়ে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের এখনাে পাওয়া যায়নি। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। আসামি আবদুল কাদের খানের আইনজীবী এর আগে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে গাইবান্ধা জেলা অ্যাডভােকেট মঞ্জুর মাের্শেদ বাবু এই মামলার রায়ে কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় হত্যা ঘটনার মূল অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ন্যায়বিচারের আশা করা পরিকল্পনাকারী ও অর্থের জোগানদাতা হিসেবে হয়েছিল। কিন্তু এই রায়ে তারা ন্যায়বিচার পাননি। তাই অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ডা. আবদুল এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন। কাদের খান এবং অভিযুক্ত অন্য পাঁচ আসামিকে। এই মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে রায় ঘােষণা শেষে লিটনের বড় বােন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল ও স্ত্রী দুপুর ১২টার দিকে আবার তাদের কঠোর নিরাপত্তার খুরশিদ জাহান স্মৃতি দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি মধ্য দিয়ে আদালত থেকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া জানান। গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ হয়। লিটন হত্যাকাণ্ডের পর ক্ল উদ্ধারে মাঠে নামে সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমরা রায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কিন্তু ঘটনার আড়াই দলীয়ভাবে সন্তুষ্ট। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। এখন মাসেও কোনাে কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রায় কার্যকর হলে সবাই স্বস্তি পাবে। রায় ঘােষণার হত্যায় ব্যবহৃত একটি পিস্তলের ফেলে যাওয়া গুলির পরপরই আদালতে প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ কর্মীরা সূত্র ধরেই হত্যারহস্য উন্মােচিত হয়। এরপর ২০১৭ আনন্দ মিছিল বের করেন। সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে হত্যার মূল প্রসঙ্গত, দুবৃত্তদের গুলিতে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) পরিকল্পনাকারী সন্দেহে আবদুল কাদের খানকে আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম গ্রেফতার করে পুলিশ। কাদের খানের স্বীকারােক্তিমূলক লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ জবানবন্দিতে হত্যায় অংশ নেওয়া কিলারদের শনাক্ত উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের নিজ ও গ্রেফতার করা হয়।
বাড়িতে অজ্ঞাত দুবৃত্তদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হন। তাকে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ওই আদালতের পিপি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ শফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগে তদন্ত শেষে এই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি হত্যা মামলায় কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযােগপত্র দেয় সাড়ে ৭টার দিকে তিনি মারা যান।

No comments

Powered by Blogger.